How to Earn Bitcoin in 2023 | কিভাবে বিটকয়েন ইনকাম করবেন ?

How-to-Earn-Bitcoin-in-2023

 

How to Earn Bitcoin in 2023: আজকের এই ব্লগে আমরা তিনটা পদ্ধতিতে বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করা যায় সেটা শিখবো।তবে বিটকয়েন ইনকাম করা যায় কিভাবে এই টপিকে যাওয়ার আগে আমরা একটু সাধারণভাবে বুঝি বিটকয়েন কি জিনিস? 

 

বিটকয়েন কি?

সাধারণত বিটকয়েনকে আমরা একটা ডিজিটাল কারেন্সি ধরে নিতে পারি। সাধারণভাবে দেখেন আমরা যখন টাকা পয়সা লেনদেন করি, একজনের কাছ থেকে আরেক জনকে পেমেন্ট করি, আরেকজনের কাছ থেকে আরেকজনকে পেমেন্ট করি। ঠিক এইরকমভাবেই কিন্তু টাকাপয়সা লেনদেন হয় কিন্তু বিটকয়েনের ক্ষেত্রে এই সিস্টেমটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভাবে হয়ে থাকে এবং বিটকয়েনের যে সুবিধা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি যে সুবিধা সেটা হলো যে এর মাঝখানে কোন মিডেল ম্যান (Middle Man) থাকে না।

 

অপরদিকে আপনি যদি টাকাপয়সা লেনদেন করতে চান তাহলে এই টাকা পয়সা প্রথমে ব্যাংকে দিতে হয় এবং ব্যাংক থেকে সেটা অন্য কাউকে দেয়া হয়।  এটা কিন্তু একটা মিডল ম্যান সিস্টেমে কাজ করে থাকে। 

 

কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে যদি বলি,  বিটকয়েন এবং ইথিরিয়াম সহ এরকম আরো প্রায় 4000 ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন আছে এই পুরো ওয়ার্ল্ডে এবং এই সবগুলো ডিজিটাল কারেন্সি কোনরকম মিডলম্যান ছাড়াই কিন্তু লেনদেন করা হয়ে থাকে। 

 

তবে বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই টপিকে আলোচনা করার আগে ছোট্ট ওয়ার্নিং দিতে চাই সেটা হল বাংলাদেশে বিটকয়েন এখনো বৈধ না। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অনেকগুলো দেশে বিটকয়েন রয়েছে এবং সেখানে বৈধ। 

 

তবে বাংলাদেশে আপনি যদি কোনরকম লেনদেন করতে চান সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করবেন।  আমার এই ব্লগটি পড়ে যে আপনি বিটকয়েন নিয়ে কাজ শুরু করবেন বা ইনকাম করবেন এরকম টা নয়। ভেবে চিন্তে কাজ শুরু করবেন আশা করি।এটা যদি আপনি করতে চান সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করবেন।কারণ বাংলাদেশে বিটকয়েন এখনও বৈধ হয় নাই। 

 

বিট কয়েন আয় করার ‍উপায় || How to earn bitcoin

তো চলুন আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক, কিভাবে আমরা বিটকয়েন ইনকাম করতে পারি। 

 

1/ মাইনিং করে ইনকাম

বিটকয়েনের কথা শুনলে আমার মাথায় শুধু একটা জিনিস আসে সেটা হলো মাইনিং।এর কারণ হলো এটা আপনি জিরো ইনভেস্টমেন্ট শুরু করতে পারবেন। 

এখন বলতে পারেন জিরো ইনভেস্টমেন্ট কিভাবে করবেন? এটার উওর জানতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে মাইনিং কি?

 

সাধারণত বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের যে ইকুয়েশনগুলো,  এই একুয়েশনগুলো সলভ করতে অনেক কম্পিউটার প্রয়োজন পড়ে বা অনেক নেটওয়ার্কিং এর প্রয়োজন পড়ে।  আর যেসব কম্পিউটার এই কাজগুলো সলভ করে থাকে তারা বিটকয়েন এর একটি ছোট অংশ পেয়ে থাকে এবং এই অংশটিকে মাইনিং ফি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। 

 

যদি আরো সহজ ভাবে একটু বলি, ধরুন, আপনার বাসায় কম্পিউটার আছে।এই কম্পিউটার টিকে আপনি বিটকয়েন মাইনিং এর কাজে লাগিয়ে দিলেন। মানে বিটকয়েন এক দেশ থেকে মানুষ অন্য দেশের কাছে বিক্রি করল। এই বিক্রি ইকুয়েশন গুলো সলভ করল আপনার কম্পিউটারটি এবং তার ফলে আপনি ছোট একটি ফি পাচ্ছেন। এটাকে বলা হয়ে থাকে মাইনিং। 

 

এখন এই মাইনিং ভ্যালুটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কম্পিউটারের পাওয়ার এর উপরে। মানে, আপনি কত ভালো কনফিগারের কম্পিউটার ব্যবহার করছেন মাইনিং এর কাজে।

 

 সেক্ষেত্রে যদি উদাহরণ দেই, মনে করেন আপনার বাসায় একটা কম্পিউটার আছে যেটাতে ২ জিবি রেম আছে। আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারেন এবং এখানে গিয়ে আপনি টু জিবি গ্রাফিক্স কার্ড টা বা যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করছেন তার কনফিগারেশন সাবমিট করলে অটোমেটিক পাশে আপনাকে দেখাবে যে, আপনি সেখান থেকে কত বিটকয়েন বা কত ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।

 

 এবং আপনি জানলে অবাক হবেন যে বাংলাদেশে অনেকেই আছে যারা খুব সেক্রেটলি বিটকয়েন মাইনিং এর কাজ করে থাকে তবে যেহেতু এটা অবৈধ অনেকে এটা প্রকাশ করতে চায়না। 

 

বিটকয়েন ইনকাম

 

এক সময় আমিও প্ল্যান করেছিলাম বাট পরবর্তীতে আর করা হয়নি তবে যেহেতু বাইরের দেশগুলোতে এটা সম্পূর্ণ বৈধ আপনি যদি আরেকটু অনলাইনে ঘাটাঘাটি করেন এই ছোটখাটো ছবিগুলো দেখেন তাহলে মোটামুটি আপনি বুঝতে পারবেন যে বিটকয়েন মাইনিং কি পরিমান হয়ে থাকে। 

 

তাছাড়া মজার বিষয়, মাসখানেক আগে আপনি যদি সময় নিউজ একটি সংবাদ দেখে থাকেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে বিটকয়েন মাইনিং করে কি পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করা যায়। 

 

 

মাইনিং করে ইনকাম

 

এখন আপনি যদি বিটকয়েন মাইনিং করতে চান বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করতে চান তাহলে আপনি খুব ভালো মানের একটি কম্পিউটার তৈরি করতে পারেন। যেহেতু আপনার এই বিষয়ে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই আমি সাজেশন দিতে পারি, আপনি চলে যাবেন আইডিবি ভবন এবং সেখানে গিয়ে অনেকগুলো কম্পিউটার দোকান আছে।

 

সেখানে গিয়ে বললেই হবে যে আমি বিটকয়েন মাইনিং বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর জন্য একটা কম্পিউটার তৈরি করতে চাচ্ছি। তারাই আপনাকে ধারণা দিয়ে দিবে যে, কত টাকার মধ্যে কম্পিউটার তৈরি করে সেখান থেকে কেমন ইনকাম করতে পারবেন। এই ধারণাটা আপনি খুব সিম্পলি ওখান থেকে পেয়ে যাবেন। 

 

২/ ট্রেডিং করে ইনকাম 

 

দ্বিতীয় টপিকটা হল ট্রেডিং করে ইনকাম। আমরা ট্রেডিং শব্দটার সাথে কিন্তু অনেক আগে থেকে পরিচিত। তার কারণ হলো যে আমরা জানি যে, ফরেক্স ট্রেড করা যায়, স্টক মার্কেটে ট্রেড করা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ট্রেড করা যায়।  তবে নরমালি Tradingকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। Short Term Trading এবং  long-term Trading

Short Term Trading

এখন Short Term ট্রেডিং  ট্রেনিং বলতে কি? আমি একটু খুব সিম্পল ভাষায় বোঝায়, যেমন যদি আমি কালকে রাতে বিটকয়েনের প্রাইস বলি। কালকে রাতে বিটকয়েন প্রাইস ছিল, এক বিটকয়েন সমান সমান প্রায় 27 লক্ষ টাকা আশপাশের এবং আজকে সন্ধ্যাবেলা বিটকয়েনের দাম আছে প্রায় 28 লক্ষ টাকার আশপাশে। তার অর্থ হল যদি আপনি কালকে বিকালের দিকে এক বিটকয়েন 27 লক্ষ টাকায় কিনে রাখতেন এবং সেটা যদি আপনি আজকে সন্ধ্যাবেলা বিক্রি করে দিতেন তাহলে আপনি টোটাল পেতেন 28 লক্ষ টাকা এবং এক লক্ষ টাকা প্রফিট হতো। 

 

 

এই যে ট্রেডিংটা, এই যে আপনি বিটকয়েন কিনলেন, আপনার কাছে হোল্ড করে রাখলেন একদিন এবং বিক্রি করে দিলেন এবং আপনার এক লক্ষ টাকা প্রফিট হলো এটাকেই মুলত Short Term Trading বলে।

 

 

২/ Long-Term Trading

 

 আপনি যদি একটু মার্কেট এনালাইটিক্স চেক করেন তাহলে দেখবেন যে, 2017 দিকে বিটকয়েনের দাম ছিল প্রায় 1 বিটকয়েন সমান সমান 15 থেকে 16 লক্ষ টাকা কিন্তু 2020 এর একবারে শেষ দিকে এক বিটকয়েনের দাম এসে দাঁড়ালো প্রায় 60 থেকে 65 লক্ষ টাকা। তাহলে বুঝেন যে যারা 2017 সালে এক বিটকয়েন কিনে হোল্ড করে রেখেছিল তারা মোটামুটি 2020 এর শেষের দিকে এসে সেই বিটকয়েন টা বিক্রি করল তিনগুণ প্রফিটে। 

ধরে নিলাম সে 20 লক্ষ টাকায় কিনে ছিল 2017 সালে এবং সে 2020 সালে বিক্রি করল 60 লক্ষ টাকা। মানে তিনগুণ প্রফিট করল। এইযে একটি লংটাইম আপনি বিটকয়েন কিনে হোল্ড করে রাখলেন এটাকেই বলা হয়ে থাকে লং ট্রাম ট্রেডিং। 

 

এখানে কিন্তু ট্রেড করতে গেলেই আপনার একটা নির্দিষ্ট ইনভেস্টমেন্ট লাগবে। সেটা আপনি 50 হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। 5000 টাকা থেকে শুরু করতে পারেন বা দশ লক্ষ অথবা 20 লাখে বা এক কোটি দুই কোটি যেকোন একটাতে শুরু করতে পারেন। এখানে বিষয়টি ইনভেসমেন্ট এর উপর নির্ভর করবে।

 

কিন্তু একটু আগে যখন বললাম যে মাইনিং এর ক্ষেত্রে  কিন্তু আলাদা করে তেমন কোন ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন নেই। তার কারণ হলো আপনার বাসায় যে কম্পিউটার আছে সেটা দিয়ে কিন্তু আপনি শুরু করতে পারবেন। যদি আপনি আরও অনেক পাওয়ারফুল কোন কিছু চান বা বেশি ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে ইনভেসমেন্ট প্রয়োজন আছে।

 

৩/ সার্ভিস প্রদান করে ইনকাম

 

তিন নাম্বার টপিকটি হলো সার্ভিস প্রোভাইড করে ইনকাম। যেমন মনে করেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা টিউশনি করে কিন্তু টিউশনে বেতন টা আমরা কিভাবে পাই?অবশ্যই টাকার মাধ্যমে কিন্তু অনেক কান্ট্রি আছে যেখানে টিউশনির পেমেন্ট টাও বিটকয়েন দিয়ে করে থাকে।এমনকি অনেক দেশের সরকার তাদের দেশের মুদ্রা বা কারেন্সি হিসেবে বিটকয়েনকে মেনেও নিয়েছে।

 

হয়তো কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ মেনে নিবে কারণ দিন দিন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার যে পরিমাণ বাড়ছে বা যে পরিমাণ গ্রোথ হচ্ছে সবদিকে বাংলাদেশ মেনে না নেওয়ার খুব বড় কারণ নেই। তো কিভাবে সার্ভিস প্রোভাইড করে বিটকয়েন ইনকাম করতে পারেন। এখানে ছোট ছোট অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন ধরুন,  আপনি একজন ইউটিউবার এবং আপনি  বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বানিয়ে থাকেন। 

 

আপনি একটি কোম্পানির প্রচারণার জন্য একটা ভিডিও তৈরি করলেন। যে ভিডিওটা তৈরি করার ফলে এই যে কোম্পানিটা, সে কোম্পানি বলল-আপনাকে তারা  বিটকয়েনে পেমেন্ট করবেন কারণ তাদের ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে পেমেন্ট করার মত তেমন কোনো সিস্টেম নেই। তারা যে পেমেন্ট আপনাকে করলো সেটা কিন্তু আপনাকে বিটকয়েন এই করেছিল এবং সেটা আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কনভার্ট করে ইন ক্যাশ করে নিতে পারবেন।

 

এভাবে আপনি যদি কোন সার্ভিস প্রোভাইডার হয়ে থাকেন এবং এই সার্ভিসের মাধ্যমে কিন্তু আপনি বিটকয়েন আর্নিং বা জেনারেট করতে পারেন। এখানে আর একটা ছোট ব্যাপার আছে সেটা হলো যে বিভিন্ন ছোট ছোট এপ্লিকেশন আছে যেখানে অল্প কিছু সময় পরিমান কাজ করে কিন্তু বিটকয়েন জেনারেট করা যায়।

 

এই সম্পর্কে যদি আপনি আরো জানতে চান তাহলে আপনি ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন, “বিটকয়েন আর্নিং এপস” লিখে। এরপর ওই এ্যাপগুলোতে সময় দিয়ে কাজ করে সেখান থেকেও কিন্তু বিটকয়েন ইনকাম করা যায় তবে সেটা পরিমাণ খুবই কম। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুলোর বেশিরভাগ ফেক হয়ে থাকে।

 

এই তিনটা পদ্ধতি বাইরে আর তেমন কোন পদ্ধতি নেই বিটকয়েন ইনকাম করার জন্য। আপনি যদি বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে টোটালি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই তিনটা পদ্ধতি ট্রাই করে দেখতে পারেন তবে ট্রাই করার আগে আমি আবারও বলতেছি বিটকয়েন বাংলাদেশে বৈধ নয়। কাজ যদি করতে চান আপনার সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করবেন।  আশা করি এই ব্লগ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। 

 

More Post: 

What Is A Bitcoins And How Does It Work

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *